প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টসহ সমুদ্রসৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে দেওয়া স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস-কো) প্রত্যাহার করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল করে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এতে স্বস্তি প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ.এম নজরুল ইসলাম।

এক বিবৃতিতে বাপা নেতৃবৃন্দ বলেন, এবার সমুদ্রসৈকতের নির্ধারিত সীমানা থেকে সরকারি বেসরকারি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো বাধা রইলো না। এতে আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা(ইসিএ) বাস্তবায়নের কথা বলে আন্দোলন করে আসছি তারা সন্তুষ্ট। এই জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানায়,তবে এই রায় বাস্তবায়নে যেন কোন প্রভাবশালী মহল রক্ষা না পায় সেদিকে নজর রাখতে জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। নেতৃবৃন্দরা বলেন,ইসিএ এলাকা নির্ধারিত সমুদ্র সৈকতের ৩০০ মিটারের মধ্যে নির্মিত এবং নির্মাণাধীন বহুতল ভবন গুলো ভেঙে দেওয়ার মধ্যে যেন শুরু হয় সমুদ্র সৈকত রক্ষার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন। এবং এটাই প্রশাসনের প্রতি পরিবেশ কর্মীদের দাবী। সমুদ্র সৈকতে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অন্যত্রে পুর্নবাসন করা হোক। তবুও যেন মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন হয়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এতকিছুর মাঝেও সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসার পরও রাত-দিন সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের একটি সংস্থা বালুচরে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে যা সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখানোর মতো। এতে হাইকোর্টের রায় পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন আধো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দরা।

অথচ কোন রকম বেঁচে থাকার জন্য যারা প্রতি বছর সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছে সেসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিন পার করছে কখন ছাড়তে হবে তাদের দীর্ঘদিনের কর্মক্ষেত্র!

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মনে করে কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করে উচ্ছেদের নামে অতিতের মতো শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ না করে সমুদ্র সৈকতে ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা(ইসিএ) ৩০০ মিটারের মধ্যে যত সরকারি বেসরকারি স্থাপনা আছে সব উচ্ছেদ করে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করা হোক।

উল্লেখ্য সমুদ্রসৈকতের অবৈধ স্থাপনার পক্ষে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।